বাসক এর উপকারিতা

 

বাসক এর উপকারিতা

বাসক

প্রচলিত নামঃ বাসক

ইউনানী নামঃ আডুসা

আয়ুর্বেদিক নামঃ বাসকা/বাঁসা

ইংরেজি নামঃ Vasaka, Malabar Nut Tree

বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নামঃ Adhatoda zeylanica Nees. (A. vasica Linn.)

পরিবারঃ Acanthaceae

 

১।সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য্:

পরিচিতি: বাসক গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। সাধারনতঃ গাছ - মিটার উঁচু এবং শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। শাখা গিঁটযুক্ত। পাতা সরল, প্রতিমুখ, বৃন্তক, লেন্স আকৃতির। বসন্তকালে মঞ্জুরীতে সাদা ফুল হয়

2 ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, ফুল, ছাল মূল

3 প্রাপ্তিস্থানঃ

দেশের সর্বত্র, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বেশী পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে, পুকুর-ডোবার পাশে, বসতবাড়ীর আশে পাশে এমনিতেই জন্মে

 

4 বাসক পাতা রোপনের সময় পদ্ধতিঃ

বর্ষার শুরুতে ডাল কাটিং করে লাগিয়ে বাসক পাতা চাষ করা যায়। অপেক্ষাকৃত শক্ত কান্ডকে কাটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত। কাটিংয়ের দৈর্ঘ্য ২০-২৫ সে.মি. হওয়া বাঞ্চনীয়। বেলে মাটি গোবর : অনুপাতে মিশিয়ে বীজ তলা তৈরি করে কাটিং লাগাতে হয়। পর্যাপ্ত পানি দিতে পারলে বছরের অন্য মৌসুমেও কাটিং করে লাগানো যায়। বীজ থেকে চারা তৈরি করেও এর চাষ করা যায়

 

5 রাসায়নিক উপাদানঃ

বাসক পাতা, ছাল মূলে প্রচুর সংখ্যক কুইনাজোলিন অ্যালকালয়েড জৈব এসিড, স্নেহ দ্রব্য, উদ্বায়ী তেল  ভিটামিন-সি বিদ্যমান

6 গুনাগুনঃ কফ নিঃসারক, শ্বাসকষ্ট প্রশমক, খিঁচুনি জ্বর নিবারক এবং জীবাণুনাশক। কাশি, শুষ্ককাশি, ব্রংকাইটিসে ফলপ্রদ

7 বিশেষ কার্যকারিতাঃ কফ নিঃসারক শ্বাসকষ্ট প্রশমক কাশি, শুষ্ককাশি ব্রংকাইটিসে

8 সতর্কতাঃ নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিৎ নয়। এতে বমন বা বমি ভাব হতে পারে

*

إرسال تعليق (0)