অপরাজিতা
বাংলা ভাষায়: অপরাজিতা
ইংরেজি নাম : butterfly-pea, blue-pea,
cordofan-pea।
বৈজ্ঞানিক নাম :
Clitoria ternatea।
১|সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য্:
ক)পরিচিতি: Fabaceae গোত্রের লতানো উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদের আদি নিবাস মালয় উপদ্বীপ। বাংলাদেশে এই উদ্ভিদ প্রচুুর দেখা যায়। মূলত এর নীলবর্ণের চমৎকার ফুলের জন্য এই উদ্ভিদের চাষ করা হয়। এর পাতার সাথে উপপত্র আছে। কাণ্ডের সাথে পাতাগুলো একান্তর পত্রবিন্যাস-এ সজ্জিত থাকে। পাতাগুলো যৌগিক এবং সচূর পক্ষল। এর পত্রকগুলো ডিম্বাকৃতির এবং লম্বায় ৪ সেন্টিমিটার হয় এবং প্রস্থে ৩ সেন্টিমিটার হয়। এর ফুল লম্বায় প্রায় ৫-৭ সেন্টিমিটার হয়। এককভাবে ফুল ফোটে। ফুলগুলো একপ্রতিসম, প্রজাপতিসম ও একলিঙ্গিক। । এই ফুলের পুংকেশর ১০টি থাকে। পরাগধানীর আয়তাকার হয়ে থাকে। স্ত্রীস্তবক ১টি, দিগুচ্ছক। এর গর্ভদণ্ড সরু। অমরাবিন্যাস এক প্রান্তীয়। ফুলগুলো বর্ষাকালে ফোটে।
খ) বর্ণ্: ফুলের প্রধান পাপড়ির বাইরের দিকের রঙ নীল এবং মধ্যস্থলে ফিকে সাদা বর্ণের হয়। কোনো কোনো ফুলের ভিতরের দিকটা একেবারেই সাদা হয়। ফুলের দুটি সবুজ ডিম্বাকার উপবৃতি আছে। এর বৃতির সংখ্যা ৫টি। এর শুঁটি লম্বায় ৮-১০ সেন্টিমিটার হয়। শুঁটির ভিতরে ৬-১০টি কালো রঙের বীজ থাকে। ফল ধরে শীতকালে।
উপকারিতা: এই উদ্ভিদের প্রায় সকল অংশই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর বীজ কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে। এর মূল বিষনাশক। চরক সংহিতার মতে, সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার জন্য নিশিন্দার মূলের সাথে অপরাজিতার মূলের ছাল পনিতে খাওয়াতে হবে। এর মূলের সাথে পানের রসযুক্ত করে নিয়মিত খাওয়ালে উন্মাদ রোগ নিরাময় হয়। এর মূলের রস প্রস্রাব বৃদ্ধি করে।
সতর্কতা: এ গাছের সবকিছুই ঔষদ হিসেবে ব্যবাহার হয় । তবে মূল এবং বীচি বেশী পরিমাণে খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । কাজেই এর পরিমান খুবই সাবাধানে প্রয়োগ করা উচিৎ।