শতমূলী
প্রচলিত নামঃ শতমূলী গাছ
ইউনানী নামঃ সাতাওয়ার
আয়ুর্বেদিক নামঃ শতাবরী, শতমূলী
ইংরেজি নামঃ Asparagus
বৈজ্ঞানিক নামঃ Asparagus racemosus Willd
পরিবারঃ Liliaceae
1। সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য্:
ক) পরিচিতি: দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চলে ও শালবনে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বাগানে চাষ করা হয়।শতমূলী গাছ একটি লতানো উদ্ভিদ। এর গোড়ায় একগুচ্ছ কন্দ মূল থাকে। এই মূলগুলোই শতমূলী নামে পরিচিত। এর লতায় বাঁকা কাঁটা হয়। ফুল মঞ্জুরিতে হয়। ।শতমূলীর ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম।
খ) বর্ণ: শরতে এর ফুল ও ফল হয়, পাকে মাঘ-ফাল্গুন মাসে। ছোট মটরের মত সবুজ ফল, পাকলে লাল হয়।
2। ব্যবহার্য অংশঃ শতমূলী গাছ এর কন্দমূল।
4। শতমূলী রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ শতমূলী গাছ রোপনের সময়: বংশ বিস্তারের জন্য বীজই প্রধান মাধ্যম। উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে এবং বালিযুক্ত মাটিতে এ গাছটি ভাল জন্মায়। বীজ বপনের পূর্বে বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ১০-১৫ দিনের মতো সময় লাগে। অংকুরিত চারার বয়স দুই থেকে তিন মাস হলে তা রোপণের উপযুক্ত হয়। কন্দমূল থেকেও চারা করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
৫।রাসায়নিক উপাদানঃ মূলে শর্করাদ্রব্য ও গ্লাইকোসাইড এবং পাতায় স্যাপোনিন বিদ্যমান।
৬।গুনাগুনঃ বলকারক, স্তন্যদুগ্ধবর্ধক, শুক্রগাঢ়কারক, স্বপ্নদোষ, মূত্রকৃচ্ছতা, শারীরিক দুর্বলতা, গনোরিয়া ও শুক্রমেহে উপকারী।
৭।বিশেষ কার্যকারিতাঃ বলকারক, স্তন্যদুগ্ধবর্ধক, শুক্রগাঢ়কারক । শারীরিক দুর্বলতা ও স্তন্যদুগ্ধ কমে যাওয়া, শুক্রমেহ ও স্বপ্নদোষ, মূত্র কৃচ্ছতায় ও গণোরিয়া
৮।সর্তকতা: শতমূলী সেবনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক।শতমূলীর রস বেশি দিন ক্রমাগত সেবন করলে পেটে গ্যাস হতে পারে। পরিশেষে, শতমূলীর গাছের ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম।